সাকার মাছ মূলত একুরিয়ামের মাছ। বিচিত্র বর্ণ ও ব্যতিক্রমি গঠনের কারনে এই মাছ সোভাবর্ধক হিসাবে একুরিয়ামে জায়গা করে নিয়েছে। সাকার মাছ একুরিয়ামের ময়লা আবর্জনা, কাচের দেয়ালের গায়ে তৈরি হওয়া শেওলা খেয়ে একুরিয়ামকে পরিস্কার রাখে। এই মাছ এখন হরহামেসায় মিলছে উন্মুক্ত জলাশয় ও নদীতে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ বলছে সাকার ফিস (sacar fish) মৎস্য সম্পদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য একটি বিরাট হুমকি। এরা জলাসয়ের কিট-পতঙ্গ ও ছোটমাছ বা লার্ভা খেয়ে ফেলছে। এতে নদী ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদন কমে গেছে।
এই মাছ ময়লা মানিতে এমনকি পানি ছাড়াও ২৪ ঘন্টা বেচে থাকতে পারে। এই রাক্ষুসে মাছটি বুড়িগংগা নদীতে ব্যপক হারে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি এটি নিয়ে ইলেকট্রিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে। জালে ধরা পড়লে এই মাছ পুনরায় জলাশয়ে না ফেলে এটিকে ধ্বংশ করতে হবে।
ধারনা করা হচ্ছে ৯০ এর দশকে ইউরোপের কোন এক ব্যক্তি এদেশ থেকে চলে জাবার সময় তার একুরিয়ামের সাকার মাউথ ক্যাটফিসগুলো গুলশান লেকে ছেড়ে দেয়। এর পর থেকে তারা বংশ বিস্তার করে এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছরিয়ে পরেছে যা আমাদের মৎস্য সম্পদের নানাভাবে ক্ষতি করছে।