রাজশাহীর আম বিদেশে ধীরে ধীরে জনপ্রীয় হয়ে উঠছে। বর্তমান সময়ে ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের অনেক দেশে রাজশাহীর আম রফতানি হচ্ছে। এসব আমের মধ্যে রয়েছে হীমসাগর আম, বোম্বায় আম, ন্যাংড়া আম, হাড়িভাংগা সহ বিভিন্য প্রজাতির আম। এসকল আম বানিজ্যিক ভাবে রপ্তানি করা হয় খুব সামান্যয়। বেশির ভাগ সময়ে প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে আমের চাহিদা পায়। এতে ধীরে ধীরে বায়লাদেশি আমের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাজশাহীতে এ বছর প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ টন। এখানে উল্লেখ্য যে রাজশাহীর অনেক কৃষক রপ্তানি যোগ্য আম উৎপাদন করে। বিদেশে আমের চাহিদা বেশি পাওয়ার আশায় বিশেষ প্রক্রিয়ায় আম উপাদন করা হয়। আম কে ব্যাগিং করে আমের গুনোগত মান ঠিক রাখা হয়।
ঢাকাভিত্তিক ২ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লি এন্টারপ্রাইজ এবং এমটিবি এগ্রো অ্যান্ড গার্ডেন যুক্তরায্য ও হংকং আম রপ্তানির জন্য হিমসাগর আম সংগ্রহ করেছে। রাজশাহীর গোপালভোগ আম রফতানি করছেন এনজেল গ্রুপ। এই আম উৎপাদন করেছে বাংলাদেশ আম উৎপাদনকারী সমিতি। এবছর তাদের ১০ টনের বেশি আম রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ফিনল্যান্ড, জার্মানি ও সুইডেনে ১০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে রাজশাহীতে কোয়ারেন্টিন, ট্রিটমেন্ট ও প্যাকেজিং ব্যবস্থা গড়ে উঠলে রপ্তানিকারকদের ফল পরিবহনে সময় নষ্ট হতো না। এবং অধিক পরিমান আম রফতানি করা সম্ভব হতো।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আম বাগান মালিকদের সাথে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে উচ্চ ফলনশীল ও সুস্বাদু আম উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করতে হবে। আর এবিষয়ে সরকারি দপ্তর গুলোকে আরো কাজ করে রফতানি বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে বিশ্ববাজারে রাজশাহীর আম একটি জায়গা দখল করতে সক্ষম হবে।