মাল্টি কালার টেবিল চিকেন (এমসিটিসি)- দেশে নতুন জাতের মুরগি

Mishkat Agriculture

মাল্টি কালার টেবিল চিকেন (এমসিটিসি)- একটি নতুন জাতের মুরগি। এটি পোল্ট্রি খামারিদের জন্য একটি দারুন সুখবর হতে যাচ্ছে। নতুন জাতের একটি উচ্চ মাংস উৎপাদনকারি মুরগির জত যা দেখতে ও স্বাদ অনেকটা দেশি মুরগির মত। জেনেটিক্স ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে অধিক মাংস উৎপাদনকারী এই মুরগির জাতটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই)। জাতটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ সংক্ষেপে MCTC।

মাল্টি কালার টেবিল চিকেন (এমসিটিসি) জাতের মুরগি দেশি মুরগির মত এবং বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এই মুরগির উৎপাদন ক্ষমতা তুলনামুলক অনেক বেশি হওয়ায় এটিকে দেশি ব্রয়লার হিসাবে আক্ষা দেওয়া হচ্ছে। মাত্র আট সপ্তাহ (৫৬ দিনে) বয়সে এই মুরগির গড় ওজন ৯৭৫ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত হয়। এ ওজন হতে প্রতিটি মুরগি গড়ে ২.২০-২.৪০ কেজি খাবার গ্রহন করে। যেখানে দেশি মুরগির এই ওজনে আসতে প্রায় ৯০-১২০ দিন লেগে যায়।

এই মুরগির রোগ ও মৃত্যুর হার কম। পালন করা খুব সহজ ও বাগার মূল্য ভালো পাওয়ার আশা সংস্লিষ্টদের। এমসিটিসি জাতের মুরগির মাংসের স্বাদ ও পালকের রং দেশি মুরগির মতো মিশ্র বর্ণের হওয়ায় খামারিরা সোনালি বা অন্যান্য ককরেল মুরগির তুলনায় দাম বেশি পাবেন বলে মনে করেন বিএলআরআইয়ের গবেষকরা।

তারা বলছে এটি অধিক মাংস উৎপাদনকারী মুরগির জাত যা বাংলাদেশের আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রেক্ষাপটেই উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিএলআরআই গনমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানান ‘বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে আমরা মুরগির পরীক্ষা করিয়েছি। এমসিটিসি সংশ্লিষ্ট যত ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার সেগুলোও সম্পন্ন হয়েছে। দেখা গেছে, এই মুরগির মাংসের গুণাগুণ দেশি মুরগির অনুরূপ।

বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমসিটিসি মুরগির জাতটিকে আমরা বলে থাকি, দেশীয় ব্রয়লার। সরকারি চারটা ফার্ম এবং প্রাইভেট দুইটা ফার্মের মাধ্যমে আমরা পুরো বাংলাদেশকে কাভার করার চেষ্টা করছি। পরবর্তী সময়ে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আরও অন্যান্য এলাকায় এর কার্যক্রম পরিচালনা করবো। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে।’

মাল্টি কালার টেবিল চিকেন (এমসিটিসি) জাতের মুরগি পালন লাভজনক হোক এবং বাংলাদেশের খামারিগণ এগিয়ে জাক সংস্লিষ্টদের এই প্রত্যাশা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *