ফিলিপাইন জাতের আখ সম্প্রতি সময়ে চাষ শুরু হয়েলে। যারা ফিলিপাইন জাতের আখ চাষ করেছে তারা বিঘা প্রতি ২-৩ লাখ টাকা আয় করতে পেরেছে। এটি সম্ভব হয়ে এর চাহিদার কারনে। এমনিতে এই আখ প্রচন্ড রসালো এবং মিষ্টি তার উপর জাতটি বাংলাদেশে নতুন। চাষের জন্য অনেকেই বীজ কিনছেন ৩০-৪০ টাকা প্রতিটির দামে। তাহলে বোঝেন কি পরিমান লাভ তারা করতে পারছেন।
ফিলিপাইন জাতের আখ দেখতে কালো ও লাল বর্ণের হয়। গঠনে কিছুটা গ্যান্ডারির মত মোটা। প্রচন্ড রসালো ও দেশি আখের মত মিষ্টি খেতে। এই আখ আপনকে নতুন একটি আখ খাওয়ার অভিগতা এনে দেবে। আপনি আবারো খেতে চাবে।

বাংলাদেশের অনেক অন্চলে এখন ফিলিপাইন জাতের আখ চাষ শুরু হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও চাহিদা থাকায় এটির চাষে সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায় দেশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, শাতক্ষিরা, দিনাজপুর, চাপায়নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, বগুরা, শিরাজগন্জ ইত্যাদি জেলাই এই আখ বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
সম্প্রতি বানিজ্যিকভাবে চাষ করে অনেকেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এমনই একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার জামতলা এলাকার আমিরা এগ্রো ফার্মের মালিক বাবু।
বাবু গণমাধ্যমকে জানান, ১০ হাজার টাকার বীজ কিনে ২ শতক জমিতে এই ফিলিপাইনের আখ চাষ শুরু করেন। সেই আখ থেকে চারা তৈরি করে বিক্রি করে তিনি প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার চারার দাম কিছুটা কম।
তবে এ আখঁ খেতে অনেক সুস্বদু, হাত দিয়েই খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া যায়। এ আখ আরও বেশি মানুষ চাষ করলে দেশের মানুষ কম দামে কিনে খেতে পারবে।
বাজারে যে আখ ও গ্যান্ডরি আমরা দেখতে পাই সেগুলা সাধারণত সবোর্চ্চ ১০ ফিট বা তার একটু বেশি হয়, কিন্তু ফিলিপাইন জাতের আখের উচ্চতা তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন হয়। এই আখ চাষের বেশি খরচ হয়ে থাকে। আখ নরম হওয়ার কারণে শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ক্ষেতের চারপাশে নেট দিয়ে বেড়া দিতে হয়। আখ বড় হলে বাঁশের খুটি দিতে হয়। জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগ ও সেচ ব্যবস্থা পরিচালনার প্রয়োজন হয়। এসকল কারণেই খরচটা একটু বেশি হয়।