নজির সৃষ্টি করলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের ৭ কৃষক। তারা হলেন জনাব আলী, আজিজার মন্ডল, আতিয়ার রহমান, নুজির আলী খাঁ, সজল হোসেন, আকাশ মিয়া, লিমন হোসেন। তাদের মাধ্যমে প্রমান হয়েছে বাংলাদেশের কৃষি সমাজ আজ জাগ্রত হচ্ছে। তারা তাদের অধিকার ও দায়ীত্বগুলো বুঝতে পারছে।
সম্প্রতি অবৈধ বা ভেজাল ধানের বীজ ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছিল এই ৭ কৃষক। স্থানীয় শহীদ বীজ ভান্ডার থেকে এই বীজ তারা ক্রয় করে। আবাদ করার পর প্রকাশ হয় এটি একটি সম্পূর্ণ ভেজাল বীজ এবং অবৈধ। তারা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে গত ১৮ আগস্ট অভিযোগ করে। অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তদন্ত করে।

তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, শহরের অগ্নিবীণা সড়কের শহিদ বীজ ভান্ডার অবৈধ স্বর্ণা ধানের বীজ বিক্রয় করে চাষিদের ক্ষতি সাধন করেছেন। এতে মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা একটি নজির সৃষ্টি করলেন, সকল কৃষকদের উচিত তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া। তারা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করা। ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজটিও প্রশংসার দাবি রাখে।