দেশের সংকট উপেক্ষা করে ভারতে রপ্তানী করা হচ্ছে সয়াবিন মিল। বিষয়টি নিয়ে গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব) এর একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে। মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ফিড প্রস্তুতকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন ভারতে সয়াাবিন মিল রপ্তানি বন্ধ না হলে দেশের পোলট্রি, মৎস্য ও পশু খাদ্য উৎপাদনকারী-খামারিদের নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
”সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধ করুন/পোলিট্র, মৎস্য ও ডেইরি শিল্প রক্ষা করুন” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংকটে থাকা স্থানীয় শিল্পের স্বার্থ বিবেচনা না করেই অন্য দেশের সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের সংকট বিবেচনায় দ্রুত সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধের দাবি করে সংগঠনটি।

ফিড তৈরির কাঁচামাল সয়াবিন মিল নিয়ে বাংলাদেশ যে সংকটে পড়েছে একই সংকটে পড়েছে ভারত। স্থানীয় বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায় বাংলদেশে সয়াবিন মিলের দাম ৫০-৫২ টাকা/কেজি বিপরীতে ভারতে এর দাম ১০০ টাকা বা তারচেও বেশি। আমাদের দেশে সয়াবিনের আবাদ খুবই সামন্য। দেশের ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চাহিদার পুরোটা বিদেশ থেকে আমদানি করে যা সয়াবিন তেলের কাচামাল।
সয়াবিন থেকে তেল উৎপাদনের ভলে যে খৈল বা বাইপ্রোডাক্ট পাওয়া যায় সেটিই সয়াবিন মিল যা অত্যান্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে ৪০-৪৪% প্রোটিন থাকে যা পোল্ট্রি ও অন্যান্য প্রাণির খাদ্য তৈরিতে প্রোটিনের উৎস্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
শিদ্ধান্তের পর স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন মিলের দাম কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বৃদ্ধি করেছে; সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে; ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সয়াবিন মিলের সংকটের কারণে অনেক ফিডমিলের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে; উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচুর খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; খামারি পর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে” জানান ফিআব নেতৃবৃন্দ।