তারিক খান একজন ক্ষুদ্র খামারি। তার গরু মোটাতাজাকরণ খামারটি কুষ্টিয়া জেলার অন্তরগত আমলা সদরপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে অবস্থিত। সে খামারি হলেও পেশায় একজন চা বিক্রেতা। চা বিক্রির পাশাপাশি একটি বাড়তি আয়েরে উদ্যেশে বাড়িতে গরু মোটাতাজাকরণ খামার গরে তুলেছেন। খামারি তারিক খান আমাদের জানিয়েছেন সে এই খামার গড়ে তুলতে পেরে সে অনেক গর্বিত এবং কুরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে সন্তশজনক টাকা আয় করে।

খামারের বিবরণ
তার লিখিত বিবরনিতে নিম্নোক্ত তথ্য সমূহ আমাদের কে জানিয়েছেন।
খামারের নাম | তন্ময় গরুর খামার |
প্রোপ্রাইটরের নাম | মোঃ তারিক খান |
খামারের ধরন | গরু মোটাতাজাকরণ ও পারিবারিক কৃষি খামার |
সংখ্যা/পরিমান | ষাড় গরু ৫ টি |
সম্পদ ও জনবল | ১ জন |
উৎপাদন | প্রতি বছর ৪-৫ টি গরু মোটাতাজাকরণ করে |
ব্যবস্থাপনা | ৫ টি গরুর জন্য আলোবাতাস চলাচল করে এমন পাকা গোয়াল ঘরে গরুগুলোকে লালন পালন করেন। গরুকে কাঁচা ঘাস সরবরাহের জন্য ৫ কাঠা জমিতে নেপিয়ার ঘাসের আবাদ রয়েছে। গরুকে নিয়মিত কৃমিনাশক করা হয়। দানাদার খাদ্য হিসাবে চাউলের কুড়া, ভুট্টা ভাংগা, গমের ভুসি ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। |
বিক্রয় | কুরবানীর হাটে গরু বিক্রয় করে থাকে। |
সমস্যা | ক্ষুরা রোগ ও এলর্জির সমস্যা খামারে বেশি দেখা যায়। |
পরিকল্পনা | আগামী বছর থেকে সে ১০টি গরুর একটি আধুনিক খামার গড়ে তোলার পনিকল্পনা রয়েছে। |
মুল্যায়ন | গরুর খামার করে তার পরিবার আজ একটু সচ্ছল হয়েছে। সে এই খামার থেকে বছরে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করে। |
শ্রদ্ধেয় তারিক ভাই এর ভাষায়-
খুব কষ্টকরি গরু পুশি, নিজের ঘরে চাল না থাকলিউ গরুর জুন্যি বিছিলি, ঘাস, ছাল, ভুসির অভাব থাকে না। আর বছর শেষে গরু বিক্কিরি করে যে ট্যকা পায় তা দিয়ে আবার গরু কিনি আর লাভের ট্যকাটা রাইখি দি।
আমাদের তারিক ভাই এর মত বাংলাদেশের অগনিত গরু পালনকারিগণ এভাবেই আমাদের দেশের অর্থনিতীতে যোগ করছে উন্নয়নের বাতাস। ধন্যবাদ তারিক খান।