আবার আসছে ফিরে সোনালী আঁশের দিন। দেশে পাটের উৎপাদন, চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্যোগে এক সময়ের প্রধান অর্থকারী ফসল সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাট শিল্প ধংশের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এখন আবার পাটের সুদিন ফিরে আসছে বলে মনে করছে অনেকেই।
পাটের চাষা বৃদ্ধি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশে সাড়ে আট লক্ষ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে এবং মোট উৎপাদন হয়েছে কম-বেশি ৯০ লাখ বেল (১৮২ কেজিতে এক বেল)। প্রতি বিঘায় গড়ে নয় মণ পাট উৎপাদিত হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ জেলায় প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছে তিন হাজার টাকার ওপরে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে, বাংলাদেশে ২০১০ সালে ৭.৮ হেক্টর জমিতে পাটেরেআবাদ করা হয়েছিল এবং মোট উৎপাদন হয়েছিল ১৫.২৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে উৎপাদন দাঁড়াতে যাচ্ছে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন।

পাটের চাহিদা বৃদ্ধির কারন
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সকল দেশে পাট ও পাটজাত পণ্য এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে এখন বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানি করে। দেশিয় অনেক প্রতিষ্ঠান পাট পন্য উৎপাদন ও দেশে বাজারজাত করছে। তবে সম্প্রতি ভারতে পাটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে চোয় পথে ভারতে পাট পাচার হওয়ার কথা বলছে কেও কেও।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এক যুগের রেকর্ড ভেঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ১১৬.১৪ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।
পাট পণ্য
পাট দিয়ে সূতা, দড়ি, বস্তা, প্যাকিং সরঞ্জাম, ব্যাগ বা থলে, পাটজাত কাপড় ইত্যাদি বাংলাদেশে প্রচুর তৈরি হয়। এখন পাটের তৈরি বৈচিত্র্যময় পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।
পাটের তৈরি টব, খেলনা, জুট ডেনিম, জুয়েলারি, ম্যাটস, নারী-পুরুষের জুতা স্যান্ডেল, বাস্কেট, পাটের শাড়ি, পাঞ্জাবি ও পাটের তৈরি গৃহস্থালি নানা সরঞ্জামের বিদেশে চাহিদা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রধানত আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোয় পাট পণ্য রপ্তানি করা হয়।
৫/১০/২০২১